নিশ্চিন্ত পুরাণ

 এক গ্রামের নাম ছিল শান্তিপুর। গ্রামটি ছিল সবুজে ভরা এবং চারপাশে ছিল সুনসান নিরবতা। গ্রামের মানুষেরা নিজেদের সুখে শান্তিতে বসবাস করতো। কিন্তু গ্রামের মধ্যে ছিল এক পুরনো বাড়ি, যা সবাই অবহেলা করেছিল। বাড়িটির আশেপাশে নানা গুজব চলত, অনেকেই বলতো বাড়ির মধ্যে ভূত বাস করে।

একদিন, গ্রামের ছেলে অরুণ, যিনি সাহসী এবং কৌতূহলী ছিল, ঠিক করলো বাড়ির রহস্য সমাধান করবে। সে বন্ধুবান্ধবদের নিয়ে বাড়ির ভিতরে প্রবেশ করলো। ভিতরে ঢোকার পর, অরুণ একটি পুরনো বইয়ের তাক দেখতে পেলো। বইগুলোর মধ্যে একটি বই ছিল যা সব ধরনের প্রাচীন কাহিনী ধারণ করতো।

বইটি খুলতেই অরুণ দেখতে পেলো যে বইটি মূলত গ্রামের পুরনো ইতিহাস বলছে। সেই বাড়ির প্রাক্তন মালিক ছিলেন একজন দয়ালু রাজা যিনি গ্রামবাসীদের জন্য অনেক কিছু করেছেন। কিন্তু মৃত্যু পরবর্তী সময়ে, রাজা তার কর্মের জন্য স্বীকৃতি চেয়েছিলেন, তাই তার আত্মা শান্তি খুঁজছিল।

অরুণ বইটি নিয়ে গ্রামের মানুষদের কাছে গেলো এবং সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিলো যে রাজাকে সম্মান প্রদর্শন করবে। গ্রামবাসীরা একত্রিত হয়ে বাড়ির পাশে একটি স্মৃতিস্তম্ভ তৈরি করলো এবং পুরনো বাড়িটিকে নতুন করে সাজালো।

মাসের পর মাস, গ্রামের মানুষ শান্তিপুরে আরো বেশি সুখে শান্তিতে থাকতে শুরু করলো। পুরনো বাড়িটি এখন একটি স্মৃতিসংগ্রহ হিসেবে পরিচিত, এবং অরুণের সাহসিকতা গ্রামে এক নতুন ইতিহাসের জন্ম দিলো।

শেষ।

এই গল্পটি মুলত পুরনো ইতিহাসের গুরুত্ব এবং সাহসিকতার মূল্য তুলে ধরে। আশা করি গল্পটি আপনার ভালো লেগেছে!

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url